Asked by
আল মামুন (New member)
Saturday, 24 Oct 2020, 12:43 AM
at (পরামর্শ
দৈনন্দিন-জীবন)
|
|
|
|
এক্সাম সাইকোলজি এক্সামে সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা পরিশ্রমের পাশাপাশি সাইকোলজি নির্ভর বললেও বোধ হয় অত্যুক্তি করা হবে না। কেউবা ব্যতিক্রম থাকতেই পারে কিন্তু অনেকের জন্য এসব বিষয় খাটে বলে আমার বিশ্বাস। এক্সাম প্রস্তুতিকালীন সময়ঃ ১। এই চাকরি পেয়েই কোন ব্যক্তি/প্রাক্তনকে দেখায় দিব। এমন ভাবসাব মনে থাকা মোটেও ভালো নয়। জব পাওয়ার একটাই উপায়- সবকিছুই ঠিক থাকা। আর না পাওয়ার হাজারো কারণ বের করা যায়। এমন ভাবার অর্থই হল- মাইন্ডসেটআপ ঠিক নাই। তবে, হ্যাঁ, যেকোনো কষ্ট/ছ্যাঁকা থেকে জাস্ট ইন্সপিরেশন নেয়া ভালো কিন্তু জীবনে অনেক বিনয়ী হতে হবে। কারণ, জীবনে কেউ ততটুকুই পায়, যতটুকু পেলে সে ভারসাম্য না হারায়! নির্মম সত্য। ২। অমুক চাকরি হলে আমি এই করব, সেই করব, কাউকে..... এমন কিছু মনে বিন্দুমাত্র ধারণ করা ঠিক নয়। যে স্থানে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, সেখানে অলরেডি অনেকেই গেছে এবং কেউই আইন বা প্রটোকলের বাইরে নয়। বসের উপরেও বস আছে। ৩। এক্সামের তারিখ চলে আসলেই দুইটা ধারণা আসেঃ --জব পাবো, পাওয়া উচিত। আই ডিজার্ভ। এমন ভাব আসা বেশ ভালো। জাস্ট এক্সাম দেয়া পর্যন্ত এক্সামপূর্ব সাইকোলজি মেনে চলুন। --ভরশা পাচ্ছি না, কী যে হবে। এমন টেনশন আসলে অনেক ধৈর্য ধরুন। অল্প সময়ে বাছাইকৃত গুরুত্বপূর্ণ পড়াগুলি মনে রাখার মত করে পড়ে নিন। ৪। অন্তত নিজের কাছেই সৎ থাকতেই হবে। ও এটা, পারব পারব, আরে হয়ে যাবে, এতোদিন পারছি সামনেও পারব, এটা তো কখনোই ভুল করিনি - এমন কিছু মনে আসার অর্থ নিজেই নিজেকে উল্লসিত করা, আত্মতুষ্টিতে ভোগা থেকেই অসৎ হওয়া শুরু হয় এবং চুড়ান্ত ব্যর্থতায় শেষ হয়। ৫। ইগ্নোর কথা শেখা। অপ্রয়োজনীয় সকল কিছু। বন্ধুর প্রশংসা আর শত্রুর সমালোচনা দুটোই অর্থহীন। বন্ধুর সাথে যতই রাগারাগি হোক, সে বন্ধুই। আর শত্রুর সাথে যতই মিল থাকুক, সে শত্রুই। কাজেই বন্ধুর সাথে কখনো বিচ্ছেদ নয়, আর শত্রুর সাথে কখনো গলাগলি নয়। কে বন্ধু আর আর কে শত্রু, বিবেককে জিজ্ঞেস করলেই উত্তর পাওয়া যায়। ৬। সবাইকে শ্রদ্ধা ও সমীহ করে চলুন। কেউ জানে না কে কবে কোথায় যাবে৷ কেউ দুর্বল ভাবলে ভাবুক। জাস্ট নিজের ওয়েট নিজে সবসময় বুঝলেই হলো। এক্সামের কয়েকদিন পূর্ব থেকে এক্সাম শুরুর দিনঃ ১। যদি মনে হয়, এবার তো হল না। আগামী এক্সামে কোপাব। এমন ভাব আসলে ধরাই যায়, স্বেচ্ছায় নিজের রাজ্যটাই কাউকে দান করে দিলেন। কিংবা, যাক না কিছু সময়, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আমিও একদিন কিছু করে ফেলব। কিন্তু রহস্য হলো- অনেকের পেছনে ঐ দেয়ালই যে থাকে না! সে করবে কী? জীবনে অধঃপতনের শেষ হয় না, যদি হয় তবে শুধু তা মৃত্যুতে। ২। পড়াশুনার মুড নাই। বুঝে নিন, আপনি হয়তো অনেক পড়েছেন, কমনও পাবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এক্সাম ভালো হবে না৷ ভালো মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে অন্যরা আরও ভালো দিবে৷ ৩। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিজি সময় যাচ্ছে। আহা এক্সাম!!! তবু টেনশন আসে না ক্যা রে..... ...। বুঝেই নিতে হবে, সামনের দিনগুলো ভালো আসতেছে না। ৪। সংযমী থাকতে পারেন নাই। বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচেও কয়েকদিন আগে থেকে খেলোয়াড়দের সঙীর সাথে থাকতে দেয়া হয় না এই কারনে যে তারা খেলায় যদি নিজের সেরাটা না দিতে পারে৷ আর, ব্যাচেলর...............বুঝলে বুঝপাতা, না বুঝলে তেজপাতা! ৫। শুধু চোখ দিয়ে বই রিভিশন দিয়ে এক্সাম দিতে যাওয়া। চোখ কতকিছুই না দেখে, তার কয়টাই বা মনে রাখে। পড়াগুলি ফিল করতে হবে হৃদয়-মন দিয়ে। হ্যাঁ, আমার ও তো এখানেই আছে! এখানেই! এক্সাম হলে করণীয়ঃ ১। সময় যাচ্ছেই- এ বিষয়টা মস্তিষ্কে প্রোগ্রাম করে রাখা। নইলে ঘুম ঘুম ভাবে এক্সাম শেষের বেল বাজবে৷ প্রশ্নগুলি মন দিয়ে ফিল করা। তবে ফিল করতে গিয়ে অধিক সময়ক্ষেপন না করা। বোঝা যায় না, এমন প্রশ্ন বারবার পড়ে গোপন কাহিনী বুঝার চেষ্টা করা। ২। সবকিছু কমন পড়লেও উত্তেজিত না হওয়া। মনে রাখা- "এ আর নতুন কী!"। আগেও এ চাকরি হাজার হাজার জনে পেয়েছে। সেরাটা ঠান্ডা মাথায় দিয়ে দেই৷ কমনের সংখ্যা খুব কম হলেও - ভাবতে হবে- নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করি তো, কী হয়, আল্লাহ ভরসা। নেক্সটে এমন সুযোগ নাও মিলতে পারে। এক্সাম হল থেকে বেরিয়েঃ ১। আসলাম, দেখলাম, জয় করলাম - এমন ফিলিংস আসলে- ভাইরে আপুরে, এক্সামটা প্রিলি হলে ১০০% নিশ্চিত ফেইল, রিটেন হইলে উত্তর টু দ্য পয়েন্ট না হয়েই খাতা ভরাট হয়েছে। তাই, সব ফিলিংস ই উত্তম ফিলিংস নাহহহহহহ! আর এক্সাম দিতে দিতেই যদি মনে হয়, এবার বুঝি হলো না, তাহলে সত্যিই এবার হলো না। কারণ এই ফিলিংস আনা মানেই ব্রেইনে নেক্সট অপরচুনিটি(NO) সিগনাল পাঠিয়ে দেয়া। ২। কেন জানি মনে হচ্ছে সুন্দরভাবে লিখার পরেও এক্সামটা ভালো হলো না, কারণ কিছু কিছু প্রশ্ন নতুন নতুন দেখতেছি - এমন ফিলিংস আসলে পাসের/টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা ৬০%+ ৩। পরিশ্রমে ঘাটতি ছিল না, কিন্তু এক্সামে কী যেন কী হল, সবই নতুন লাগতেছে। আর এক্সাম শেষে মিলিয়ে দেখলেন যা লিখেছেন একটাও ভুল হয়নি। এমন অবস্থা হলে ১০০% পাস করবেন/ টিকবেন। ৪। নিজের সেরাটা দিয়ে লিখা সম্ভব হয়েছে, কিছু কমন না আসলেও বেসিক নলেজে প্রায় ১০০% লিখা হয়েছে - এমন ভাব আসলে পাসের/টিকার সম্ভাবনা ১০০% ৫। এক্সাম দিয়ে এসে অজানা কারণে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছে, বুঝে নিন, সেই এক্সাম দিয়েই হয়তো আপনার সামনে ভালো দিন আসতেছে। ধন্যবাদ। আল মামুন, হাবিপ্রবি, সিএসই '১৫। মন নিয়ে গবেষণার দুঃসাধ্য সাহস দেখিয়েছি লেখায় 🙂। আশা করি সবার কমবেশি উপকারে আসবে। 🙂 Answered by আল মামুন (New answerer) Saturday, 24 Oct 2020, 12:45 AM |
আল মামুন
(active on Tuesday, 12 Apr 2022, 03:51 AM)
( |
|
আলি
(active on Wednesday, 19 Apr 2023, 11:07 PM)
( |
|
moosiakdefrogosa
(active on Monday, 29 Nov 2021, 06:58 PM)
( |
|
AlfredMic
(active on Sunday, 24 Oct 2021, 09:51 PM)
( |
|
LorenMic
(active on Monday, 08 Nov 2021, 12:07 PM)
( |
|
এডমিন
(active on Wednesday, 20 Nov 2019, 09:01 PM)
( |
|
আল মামুন
(active on Wednesday, 20 Nov 2019, 12:20 AM)
( |
|
Md. Kaisar Hasan mithun
(active on Monday, 02 Dec 2024, 01:59 PM)
( |
|
unressy
(active on Sunday, 19 May 2024, 12:54 AM)
( |
|
Snohabs
(active on Thursday, 16 May 2024, 11:33 AM)
( |
|
RewSweelm
(active on Thursday, 16 May 2024, 04:57 AM)
( |
|
Snohabs
(active on Monday, 29 Apr 2024, 04:44 AM)
( |
|
Debjyoti Barua
(active on Wednesday, 27 Mar 2024, 04:51 PM)
( |
|
RewSweelm
(active on Sunday, 28 Apr 2024, 05:12 PM)
( |
|
Avace
(active on Thursday, 07 Mar 2024, 04:00 PM)
( |
|
AMONI
(active on Wednesday, 06 Mar 2024, 02:48 PM)
( |
|
foedugh
(active on Tuesday, 27 Feb 2024, 05:47 AM)
( |
|
tilinatry
(active on Friday, 01 Mar 2024, 06:36 PM)
( |
|
Mymnsmomo
(active on Sunday, 25 Feb 2024, 08:18 AM)
( |
|
KvIkxVe
(active on Sunday, 25 Feb 2024, 03:22 PM)
( |